• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম, ঠিকাদার ও এলাকাবাসী মুখোমুখি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০২৩

কয়রা খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের গ্রাজুয়েট হাইস্কুল থেকে হায়াত খালী বাজার পর্যন্ত ৩.৭৮ কিলোমিটার পিচের রাস্তা নির্মান কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নিম্নমানের কাজ করতে বাধা প্রদান করতে গিয়ে ঠিকাদারের লোকজন ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে কয়রা থানা পুলিশ ও উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, রাস্তার সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি খোয়ার পরিমাণ কম দিয়ে অথ্যাৎ নামমাত্র খোযা দিয়ে বেশি পরিমাণ বালুর ব্যবহার করছে। দায়সারা কাজ করা হলে অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তা ডেবে যাবে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মৎস্য ব্যবসায়ীদের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। এমনকি কৃষি কাজের জন্য কৃষকরা এই রাস্তা দিয়ে তাদের মালামালের গাড়ি বহন করার জন্য এ রাস্তা ব্যবহার করেন। এজন্য রাস্তা তৈরিতে উপকরন কম এবং মালামাল নিম্মমানের হলে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে রাস্তাটি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়বে। গ্রামবাসী বাঁধা প্রদান করতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।

অন্যদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন বলেন, রাস্তা সংস্কার কাজে বাধা সৃষ্টি করার কারণে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে নিম্নমানের কাজের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণে বাড় ধরণের অনিয়ম হয়নি। তবে সড়কের এক পাশে বড় খাল রয়েছে। কাজ বাস্তবায়নে বেগ পেতে হচ্ছে। দু’একটা জায়গায় সমস্যা হতে পারে।

কয়রা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যে মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে কার্যাদেশ পেয়ে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, দায়সারা ভাবে খোয়া-বালুর ব্যবহার করা হচ্ছে সড়ক নির্মান কাজে। এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয় ঠিকাদারের লোকজন। গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে রাস্তাটির সংস্কার কাজ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেম, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তাটি সরেজমিনে দেখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বললে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার অভিযোগে বর্তমানে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কের গুণগত মান ঠিক করেই নির্মান কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads